এই সমাজব্যবস্থা, রাজনীতির ওপর আমার রাগ হলে আমি লেখাতে চিৎকার করি। সুকুমার সে রাগকে প্রবাহিত করে দেন আমাদের মস্তিষ্কের গভীর প্রকোষ্ঠে। ভেঙে পড়া রাষ্ট্রের মঞ্চেই বাচ্চারা হেসে হেসে বলতে থাকে, "ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, তোমায় আমি মারব না-/ সত্যি বলছি কুস্তি ক'রে তোমার সঙ্গে পারব না।/ মন্]টা আমার বড্ড নরম, হাড়ে আমার রাগটি নেই, / তোমায় আমি চিবিয়ে খাব এমন আমার সাধ্যি নেই /মাথায় আমার শিং দেখে ভাই ভয় পেয়েছ কতই না-/ জানো না মোর মাথার ব্যারাম, কাউকে আমি গুতোই না?// এস এস গর্তে এস, বাস ক'রে যাও চারটি দিন, / আদর ক'রে শিকেয় তুলে রাখব তোমায় রাত্রি দিন।/ হাতে আমার মুগুর আছে তাই কি হেথায় থাকবে না? মুগুর আমার হাল্কা এমন মারলে তোমায় লাগবে না।/ অভয় দিচ্ছি, শুন্]ছ না যে? ধরব নাকি ঠ্যাং দুটা?/ বলে তোমার মুণ্ডু চেপে বুঝবে তখন কান্ডটা // আমি আছি, গিন্নী আছেন, আছেন আমার নয় ছেলে- সবাই মিলে কামড়ে দেব মিথ্যে অমন ভয় পেলে।" শুনে প্রকাশ্যে রাষ্ট্র হাসে বাচ্চাটির মতন। কিন্তু গভীর রাতে রাষ্ট্রযন্ত্রটির মাথার ভেতর সিড়সিড়ানি হয় না? পাণ্ডিত্যের ওপর এমন আঘাত সম্ভবত বিদ্যাসাগর মহাশয়ও দিয়ে যেতে পারেননি। "...খানিক বাদে ঝড় উঠেছে ঢেউ উঠেছে ফুলে, / বাবু দেখেন নৌকোখানি ডুবল বুঝি দুলে।/ মা